পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে প্রায়ই বিভিন্ন চিরকুট পাওয়া যায়, যেখানে দানকারীরা তাদের ব্যক্তিগত প্রার্থনা ও আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। সম্প্রতি, একটি চিরকুটে লেখা হয়েছে:

'পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়'

"আসসালামু আলাইকুম,

প্রিয় পাগলা মসজিদ,

আমি একজন সৌদিয়ানকে ভালোবাসি। হে মহান আল্লাহ তুমি তাদের আমার করে দাও। আমি যেন তাকে বিবাহ করিতে পারি। (সুম্মা আমিন)। হে আমার রব, তুমি আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিও না। হে রব, তুমি আমাকে নবীর দেশে-পবিত্র মাটিতে জন্মগ্রহণ করার সৌভাগ্য দিয়েছ, আমি যেন আবার সেই সৌভাগ্য নিয়ে তোমার পবিত্র মাটিতে মৃত্যুবরণ করিতে পারি। (আমিন)। আমি যেন পড়ালেখাই ভালো হতে পারি, আমার পরিবারে যেন শান্তি বয়ে আসে। (আমিন) আমি যেন হালাল রুজি রোজগার করিতে পারি (আমিন). হে রব - হে মহান আল্লাহ তোমার কাছে দুই হাত তুলিয়া চাহিতেছি তুমি আমাকে মক্কাবাসীর ভালো এক উত্তম, দ্বীনি সুদর্শন লোকের সহিত বিবাহ করিয়ে দাও (আমিন।) যে, আমার চিঠিখানা পড়িয়াছেন আমাদের জন্য দোয়া করবেন, নেক আশা করিয়া চিঠিখানা লিখেছি।

ইতি তোমার পাপী বান্দা।"

citeturn0search1

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এমন চিঠি ও চিরকুটের উপস্থিতি নতুন নয়। এর আগে, বিভিন্ন সময়ে প্রেম, আরোগ্য, শিক্ষায় সাফল্য ও অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রার্থনা নিয়ে লেখা চিঠি পাওয়া গেছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দানের বাক্সে চিঠি ফেলার কারণে বাক্সের অতিরিক্ত স্থান দখল হয়, ফলে অনেক সময় কাঠি দিয়ে ঠেলে টাকা ঢোকাতে হয়। তবে, তারা পরামর্শ দিয়েছেন যে, ব্যক্তিগত প্রার্থনার জন্য সরাসরি আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত, চিঠি দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। citeturn0search2